
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াশিংটনে তাঁরা বৈঠকে বসেন। এ সময় কানাডার সঙ্গে ভারতের চলমান বিতর্ক নিরসনে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহায়তা করতে দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
বৈঠকের শুরুতে এস জয়শঙ্কর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও সহায়তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
জয়শঙ্কর গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অসাধারণ অগ্রগতি ও তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দুই নেতা আলোচনা করেছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওয়াশিংটন সফর বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কেননা, সম্প্রতি কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছে ভারত। কানাডার অভিযোগ, তাদের নাগরিক ও শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কার, ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারত-কানাডার এই বিরোধে সরাসরি কোনো পক্ষ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, তবে জয়শঙ্করের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে এ–সংক্রান্ত কানাডীয় তদন্তে ভারতকে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়েছে। দিল্লিতে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিয়েতনামে গিয়ে ভারতের সমালোচনা করেছেন। মোদি সরকারকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলেছেন। অভিযোগ করেছেন, এসব নিয়ে ভারতের মাটিতে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনে গিয়ে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। যদিও এই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গতকাল তিনি বলেছেন, শিখ নেতা হত্যার তদন্তে কানাডাকে সহায়তা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিকেলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছেন যে ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্করের বৈঠকে হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড এবং তা ঘিরে বিরোধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে।