সত্যান্বেষী ফেলুদা যে প্রথম রহস্য সমাধান করেন।

সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি সত্যান্বেষী ফেলুদা যে প্রথম রহস্য সমাধান করেন তা হলো “দুই নম্বর বিপদ”। এই গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। গল্পটিতে ফেলুদা এবং তার বন্ধু জটায়ুকে একটি খুনের রহস্য সমাধান করতে হয়।
গল্পের শুরুতে, ফেলুদা এবং জটায়ু একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছেন। সেখানে তারা এক ব্যক্তিকে দেখেন যিনি একটি চিঠি পড়ছেন। চিঠিটিতে বলা হয় যে ব্যক্তিটিকে খুন করা হবে। ফেলুদা এবং জটায়ু ব্যক্তিটিকে চিঠি সম্পর্কে সতর্ক করেন, কিন্তু ব্যক্তিটি তাদের কথা বিশ্বাস করে না।
পরের দিন, ব্যক্তিটিকে খুন করা হয়। ফেলুদা এবং জটায়ু খুনের রহস্য সমাধান করতে শুরু করেন। তারা খুঁজে পায় যে খুনের পিছনে একটি জটিল পরিকল্পনা ছিল।
ফেলুদা এবং জটায়ুর তদন্তের মাধ্যমে, তারা খুঁজে পায় যে খুনি হলো ব্যক্তিটিরই একজন বন্ধু। বন্ধুটি ব্যক্তিটির সম্পত্তি দখল করার জন্য তাকে খুন করেছিল।
ফেলুদা এবং জটায়ু খুনিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এইভাবে, ফেলুদা তার প্রথম রহস্য সমাধান করে।
গল্পটিতে ফেলুদার তদন্তের দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা দেখানো হয়েছে। ফেলুদা খুব সহজেই খুনের রহস্য সমাধান করতে সক্ষম হয়। গল্পটিতে জটায়ুর ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। জটায়ু ফেলুদার অনুগত বন্ধু এবং সহকারী। তিনি ফেলুদাকে তার তদন্তে সাহায্য করে।
“দুই নম্বর বিপদ” একটি জনপ্রিয় গল্প। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। গল্পটিতে ফেলুদা চরিত্রটিকে প্রথমবারের মতো পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এই গল্পের মাধ্যমে ফেলুদা চরিত্রটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
গল্পটিতে কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো:
- ফেলুদা এবং জটায়ু একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছেন। সেখানে তারা এক ব্যক্তিকে দেখেন যিনি একটি চিঠি পড়ছেন। চিঠিটিতে বলা হয় যে ব্যক্তিটিকে খুন করা হবে।
- ফেলুদা এবং জটায়ু ব্যক্তিটিকে চিঠি সম্পর্কে সতর্ক করেন, কিন্তু ব্যক্তিটি তাদের কথা বিশ্বাস করে না।
- পরের দিন, ব্যক্তিটিকে খুন করা হয়।
- ফেলুদা এবং জটায়ু খুনের রহস্য সমাধান করতে শুরু করেন। তারা খুঁজে পায় যে খুনের পিছনে একটি জটিল পরিকল্পনা ছিল।
- ফেলুদা এবং জটায়ুর তদন্তের মাধ্যমে, তারা খুঁজে পায় যে খুনি হলো ব্যক্তিটিরই একজন বন্ধু। বন্ধুটি ব্যক্তিটির সম্পত্তি দখল করার জন্য তাকে খুন করেছিল।
- ফেলুদা এবং জটায়ু খুনিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গল্পটিতে ফেলুদা এবং জটায়ু চরিত্রের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
- ফেলুদা একজন বুদ্ধিমান এবং তদন্তকারী। তিনি খুব সহজেই খুনের রহস্য সমাধান করতে সক্ষম হয়।
- জটায়ু ফেলুদার অনুগত বন্ধু এবং সহকারী। তিনি ফেলুদাকে তার তদন্তে সাহায্য করে।
গল্পটিতে কিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা হলো:
- সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- অন্যের কথা বিশ্বাস করা উচিত নয়।
- রহস্য সমাধানের জন্য বুদ্ধিমত্তা এবং তদন্তের দক্ষতা প্রয়োজন।