প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায়
মহান আল্লাহ তায়ালা কিছু কিছু বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবত দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেন।
১. তাওয়াক্কুল করা:
মুসলমানদের সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) রাখা উচিত। তিনি বলেন- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)।
২. ধৈর্যধারণ করা:
যে-কোনো বিপদে ধৈর্যধারণ করা মু’মীনদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মহান রব বলেন- ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)।
৩. বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তিগফার করা:
তাওবা ও ইস্তিগফার সম্পর্কে কুরআনে এসেছে- ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সমীপে খাঁটি তওবা করো, এই আশায় যে তোমাদের প্রভু তোমাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন আর তোমাদেরকে এমন উদ্যানসমূহে উপবিষ্ট করবেন যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত থাকবে।’ (সুরা আত-তাহরিম: ০৮)।
এছাড়া, মহানবি (সা.) বলেন, ‘শিগগিরই মহান আল্লাহকে স্মরণ করো, তাঁর কাছে তওবা করো।’ (বুখারি: ২/৩০; মুসলিম: ২/৬২৮)।
৪. সাদকা করা:
সাদকা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে- ‘নিশ্চয়ই সাদকা অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬৬৪; ইবনে হিব্বান: ৩৩০৯)। অপমৃত্যু বলতে ওইসব মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে যা থেকে স্বয়ং নবীজি (সা.) পানাহ চেয়েছেন। তা হলো- ‘পানিতে পড়ে, আগুনে পুড়ে, ওপর থেকে পতিত হয়ে, যুদ্ধ থেকে পলায়নরত অবস্থায় বা এ ধরনের কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করা। হঠাৎ মৃত্যুকেও কেউ কেউ অপমৃত্যু বলেছেন।’ (মেরকাত : ৪/১৩৪১)।
৫. সচেতনতা অবলম্বন করা:
ইসলামে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জোর তাগিদ প্রদান করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, সতর্কতা অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা: ৭১)।
এছাড়া হাদিসে এসেছে- ‘ইমানদার ব্যক্তি একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না।’ (বুখারি: ৬১৩৩)।
মহান রব আমাদেরকে সব ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন, আমীন!